নগরীতে ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের অবরোধ কর্মসূচী
Published: 2018-04-09 02:29:19

কোটা প্রথার সংস্কারসহ পাঁচ দফা দাবি
পূর্ব ঘোষিত কেন্দ্রিয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ পাঁচ দফা দাবিতে সারা দেশে বিক্ষোভ করেছে চাকরি প্রত্যাশী তরুণরা। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস সহ (বিসিএস) সব সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথার সংস্কারসহ পাঁচ দফা দাবিতে গতকাল রোববার বেলা ২টায় সিলেট কেন্দ্রিয় শহীদ মিনার থেকে গণপদযাত্রা বের হয়ে বন্দরবাজার সহ নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নগরীর চৌহাট্টায় গিয়ে অবরোধ কর্মসূচী পালন করে ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও গণপদযাত্রা ও অবরোধ কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেন শাবিপ্রবি, সিকৃবি, এমসি কলেজ, মদন মোহন কলেজ সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীবৃন্দ।
আন্দোলনকারীদের স্লোগান ছিল-‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নেই’, কোটা দিয়ে কামলা নয়, মেধা দিয়ে আমলা চাই’, ‘এক দফা এক দাবি, কোটা প্রথার সংস্কার চাই’, ‘বাতিল কর বাতিল কর, নাতি-পুতি কোটা বাতিল কর’, ‘আমাদের দাবি আমাদের দাবি, মানতে হবে মেনে নাও’। তাদের প্লাকার্ডে লেখা ছিল- ‘একই ব্যক্তিকে কোটা সুবিধা বারবার নয়, ১০ শতাংশের বেশি কোটা নয়, কোটা পদ্ধতি নিপাত যাক, এটা কোটা নয়-বৈষম্য।’ সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সিলেট শাখার প্রধান সমন্বয়ক শাবিপ্রবি লোক প্রশাসন বিভাগের ছাত্রমো. নাসির উদ্দীনের সঞ্চালনায় কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান শাবিপ্রবি’র শিক্ষার্থী আল আমিন ভূইয়া, রিপন মাহমুদ, মো. ফারুক মিয়া, সিকৃবির ছাত্র রাহুল চন্দ্র দাস, এমসি কলেজের আহবায়কমো. শাহীনূর আলম, কাউসার আহমদ প্রমুখ। গণপদযাত্রা ও অবরোধ কর্মসূচীতে একাত্মতা পোষণ করেন জৈন্তাপুর তৈয়ব আলী টেকনিক্যাল কলেজের শিক্ষক নজরুল ইসলাম রেজা। কোটা সংস্কারের পক্ষে শিক্ষার্থীদের ৫ দফা দাবীগুলো হচ্ছে- কোটা ব্যবস্থা সংস্কার করে ৫৬% থেকে কমিয়ে ১০% করা, কোটায় কোন বিশেষ নিয়োগ পরীক্ষা নয়, চাকুরির নিয়োগে কোটা সুবিধা একাধিক বার ব্যবহার নয়, কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে শূন্য পদে মেধার ( যোগ্যতার) ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। সরকারী চাকুরির ক্ষেত্রে সবার জন্য অভিন্ন বয়স ও কাট মার্কস থাকতে হবে।-বিজ্ঞপ্তি