বাংলাদেশী নাগরিকদের ভিসার প্রয়োজন ঠিক কতোটুকু?
Published: 2017-10-22 14:36:51

নিউজ মিরর ডেস্ক : আমরা সাধারণত বিদেশ যাবার প্রয়োজন না হলে কেউ পাসপোর্ট তৈরি করি না। কিন্তু শুধু পাসপোর্ট হলেই কি বিদেশ যাওয়া যায়? তার সাথে প্রয়োজন যে দেশে যেতে চান সে দেশের ভিসা বা প্রবেশের জন্য অনুমতি পত্র। জন্মসূত্রে বা অভিবাসনসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিকদেরকে বাংলাদেশ সরকার পাসপোর্ট প্রদান করে থাকে। বাংলাদেশের পাসপোর্ট অফিস বা বিদেশে বাংলাদেশী দূতাবাস হতে এটি দেয়া হয়ে থাকে। বাংলাদেশের পাসপোর্টে ইসরাইল ব্যতীত পৃথিবীর আর সব দেশে ভ্রমণের অনুমতি রয়েছে। বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য ভিসার প্রয়োজনীয়তা হলো অন্যান্য রাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ দ্বারা বাংলাদেশের নাগরিকদের উপর আরোপিত প্রশাসনিক এন্ট্রি বিধিনিষেধ।
বিশ্বের অধিকাংশ দেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ভিসা বাধ্যতামূলক। কিন্তু আপনি জানেন কি? ভিসা নিষেধাজ্ঞা সূচক অনুযায়ী, একজন বাংলাদেশী পাসপোর্টধারী ৪২টি দেশে ভিসা ছাড়া প্রবেশ অথবা অন এরাইভাল ভিসা সুবিধা পান।
ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকার-
বাংলাদেশের পাসপোর্টধারীদের ভিসা লাগবে না এমন দেশগুলো হলোঃ
১. বাহামাস (চার সপ্তাহ পর্যন্ত), ২. বার্বাডোস (ছয় মাস), ৩. ডোমিনিকা (ছয় মাস), ৪. ফিজি (চার মাস), ৫. গাম্বিয়া (তিন মাস), ৬. গ্রানাডা (তিন মাস), ৭. হাইতি (তিন মাস), ৮. জ্যামাইকা, ৯. লেসোথো (তিন মাস), ১০. মালাওয়ি (তিন মাস), ১১. মাইক্রোনেশিয়া (এক মাস), ১২. সেইন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, ১৩. সেইন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড দ্য গ্রানাডিনস (এক মাস), ১৪. ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো, ১৫. ভানুয়াতু (এক মাস), ১৬. মন্টসেরাত (তিন মাস), ১৭. টার্ক অ্যান্ড সিসেরো আইল্যান্ড (এক মাস), ১৮. ব্রিটিশ ভার্জিনিয়া আইল্যান্ড (এক মাস), ১৯. মাক্রোনেশিয়া (এক মাস) ২০. নিউয়ি (এক মাস)।
আগমনের পর ভিসা/ই-ভিসা-
সেখানে পৌঁছানোর পর ভিসা করতে হবে এমন দেশগুলো হলোঃ
১. ভুটান, ২. বলিভিয়া (তিন মাসের ভিসা), ৩. কেপ ভার্দে, ৪. কমোরোস, ৫. গিনি বিসাউ (তিন মাস), ৬. মাদাগাস্কার (তিন মাস), ৭. মালদ্বীপ (এক মাস), ৮. মাওরিতানিয়া, ৯. মোজাম্বিক (এক মাস), ১০. নেপাল (এক মাস), ১১. নিকারাগুয়া (তিন মাস), ১২. তিমরলেস্টে (এক মাস), ১৩. টোগো (সাত দিন), ১৪. তুভালু (এক মাস), ১৫. উগান্ডা, ১৬. বুরুন্ডি, ১৭. জিবুতি (এক মাস), ১৮. আজারবাইজান (এক মাস), ১৯. ম্যাকাউ (এক মাস)।
বিশেষ অনুমোদনের প্রয়োজন-
বাংলাদেশের পাসপোর্টধারীদের ভিসা লাগবে না, তবে বিশেষ অনুমোদন লাগবে এমন দেশগুলি হলোঃ
১। কিউবায় প্রবেশের জন্য টুরিস্ট কার্ড জোগাড় করতে হবে এবং এই কার্ডের মেয়াদ তিন মাস।
২। সামোয়াতে প্রবেশের জন্য অনুমতিপত্র থাকলেই হলো। তবে এর মেয়াদ দুই মাস।
৩। সেচেলেসে ভ্রমণের অনুমতিপত্র থাকতে হবে। মেয়াদ এক মাস।
৪। সোমালিয়ায় থাকে এমন কেউ স্পন্সর করলে সেখানে পৌঁছেও ভিসা করা যাবে, তবে এর মেয়াদ হবে মাত্র এক মাস। এক্ষেত্রে সোমালিয়ায় পৌঁছানোর দু'দিন আগে সেখানকার বিমানবন্দরে বিষয়টি জানিয়ে রাখতে হবে।
৫। শ্রীলংকায় ভ্রমণের জন্য এক মাস মেয়াদী ইলেকট্রনিক অনুমোদনপত্র প্রয়োজন।
৬। সরকারি কোনো সফরের নথিপত্র থাকলে লাওসে যেতে ভিসার প্রয়োজন হবে না।
তাই আপনি যদি একজন পাসপোর্টধারী বাংলাদেশী হয়ে থাকেন তবে সুযোগ বুঝে ভিসা করে ফেলুন আর ভ্রমণ করুন পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে।
তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া